বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তাঁর ভাই শামীম ইস্কান্দার।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এমন প্রেক্ষিতে তাঁর ভাই শামীম ইস্কান্দার পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা কেউ কথা বলতে রাজি হননি। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মুঠোফোনেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কারও সঙ্গেই কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাই একটি আবেদন দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর। আবেদনটির বিষয়ে আইনি মতামত চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে এর আগে গত ৫ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তাঁর ভাই শামীম ইস্কান্দার। পরে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেই আবেদন ‘মঞ্জুর করা যাবে না’ মর্মে মতামত দেয় আইন মন্ত্রণালয়। আইন মন্ত্রণালয়ের এ মতামতের ওপর ভিত্তি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদনটি নাকচ করে দেয় তখন।

খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে করা এ আবেদন মঞ্জুর না করার বিষয়ে আইনি ব্যাখ্যা দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বিদ্যমান ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার বিধানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার আলোকে খালেদা জিয়ার সাজা ও দণ্ডাদেশ আগেই স্থগিত করে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির একই ধারা অনুযায়ী, দ্বিতীয়বার তাঁকে অনুরূপ সুযোগ দিয়ে বিদেশে যেতে দেওয়ার সুযোগ নেই।’