খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায় সরকারকে নিতে হবে : মির্জা ফখরুল
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন, তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। তবে মেডিকেল বোর্ড তাঁকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু সরকার তাঁকে স্থায়ী জামিন বা মুক্তি দিচ্ছে না। এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া এখনও সুস্থ আছেন। তাঁর সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বেগম জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দারও সুস্থ আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ ছিল উনাকে (খালেদা জিয়া) দেশের বাইরে নেওয়ার জন্য। পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদনও জানিয়েছিল গত আগস্টে। কিন্তু এখনও সেটা সম্ভব হয়নি। পরে উনার একটু একটু জ্বর থাকায় ১২ অক্টোবর আবার হাসপাতালে (এভারকেয়ার হাসপাতাল) ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আজ খালেদা জিয়ার শরীরে ছোট একটি অপারেশন করে বায়োপসি করা হয়েছে। এখন তিনি ভালো আছেন।
ডা. জাহিদ আরো বলেন, ম্যাডাম বায়োপসি করার পর তারেক রহমান, শামীম ইস্কান্দার, শর্মিলা রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন। এখন তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। মেডিকেল বোর্ড দেশের বাইরে একটা ডেডিকেটেড চিকিৎসা কেন্দ্রে খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়ার প্রাথমিক পরামর্শ দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, চিকিৎসক বোর্ড বারবার বলছে, খালেদা জিয়ার যে একাধিক সমস্যা তা বাংলাদেশে করার সেন্টার নেই। তাই পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনও করা হয়েছে। অথচ একজন নাগরিক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি তাঁর সেই অধিকার পাচ্ছেন না। জামিন পাওয়ার একটা অধিকার তাঁর আছে, সেটা তিনি পাচ্ছেন না। খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে। কারণ তারা তাঁকে স্থায়ী জামিন বা মুক্তি দেয়নি৷ সরকারের উচিত তাঁকে বিদেশে চিকিৎসা করতে যেতে দেওয়া।
বায়োপসির রেজাল্ট পেতে সময় লাগবে বলে জানান ডা. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া শঙ্কামুক্ত। কিন্তু তাঁর মাল্টি চিকিৎসার জন্য বিদেশে চিকিৎসা প্রয়োজন। এটা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। কারণ এসব চিকিৎসার যন্ত্রপাতি বাংলাদেশে নেই। তাই বিদেশে চিকিৎসা প্রয়োজন।