খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই : আইনমন্ত্রী
দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান অনুযায়ী, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ সোমবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের ৪৭তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে, তাহলে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন না।’
খালেদা জিয়া আদালতের মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্ত। এ অবস্থায় খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কী না বিষয়টি পরিষ্কার করে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আইন যা বলে, তাই হবে। আমার কথার সারমর্ম হচ্ছে, আইনে যদি বলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন, তাহলে তিনি করবেন। কিন্তু আইনে যদি বলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না, তাহলে তিনি তা করতে পারবেন না। আপাতত যে আইন আছে তাতে মনে হয় না যে, তিনি নির্বাচন করতে পারবেন।’
বিএনপি খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিল করে তা শুনানির উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এর ফল কি হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কি করবেন, আর কি করবেন না, আমি কি সে জন্য তাদের উপদেশ (অ্যাডভাইস) দিব? তারা আপিল শুনানির উদ্যোগ নিচ্ছেন না, তার কৈফিয়ত যদি আমাকে দিতে হয়, তাহলে তো সেটা অযৌক্তিক হবে।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘এ আইন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ এ আইন করাই হয়েছে শুধু সাইবার অপরাধ দমন করার জন্য। বাক স্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য এ আইন করা হয়নি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় যে ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামোর নাম ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই ব্যাখ্যা দেব।’
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।