খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩১ অক্টোবর
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-২-এর বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে এ তারিখ ঠিক করেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার ও জিয়া উদ্দিন জিয়া।
মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার জানান, আজ মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু, খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল আলম ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলার বিবরণে জানা যায়, ১/১১-এর জরুরি অবস্থার সময়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা করে।
শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। মামলায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে খালেদা জিয়া সভাপতি হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি করেছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছিল। এতে চারদলীয় জোট সরকারের প্রয়াত স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রয়াত তথ্যমন্ত্রী শামসুল ইসলাম, প্রয়াত কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলা দায়ের ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না—জানতে চেয়ে সরকারকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়ে রুলও জারি করেন। পরবর্তী সময়ে মামলার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন অন্য দুটি মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়া।