গাজীপুরে গ্যাসের ৮০০ অবৈধ সংযোগ ও লাইন বিচ্ছিন্ন করল তিতাস
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া, তারগাছ ও নাওজোর এলাকায় এক অভিযানে প্রায় ৮০০ অবৈধ আবাসিক সংযোগ এবং প্রায় দুই কিলোমিটার গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না রহমান জ্যোতির নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ ও ব্যবহারের দায়ে একজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ছয়জনকে অর্থদণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় অবৈধ সংযোগে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদিও জব্দ করা হয়।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড গাজীপুরের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকার অসাধু লোকজন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে বিপজ্জনকভাবে ব্যবহার করছে। এসব অবৈধ সংযোগের বিষয়ে সংবাদ পেয়ে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না রহমান জ্যোতির নেতৃত্বে ও তিতাস গ্যাসের জোনাল বিপণন অফিস (জোবিঅ) গাজীপুরের উদ্যোগে আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুনিয়া পাছর, তারগাছ ও নাওজোর এলাকার ১০টি পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে আদালত অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ ও ব্যবহারের দায়ে স্থানীয় ছয়জনকে দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন। এদের মধ্যে অবৈধ সংযোগ প্রদানের মূল হোতা মো. শরিফুল ইসলামকে অর্থদণ্ডসহ ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত।
অভিযানকালে প্রায় ৪০০ বাসাবাড়ির ৮০০ গ্যাস চুলার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং অবৈধভাবে স্থাপিত প্রায় দুই কিলোমিটার পাইপলাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও অপসারণ করা হয়। অভিযানকালে চুলাসহ বিভিন্ন ব্যাসার্ধের পাইপ, রাইজার ও অবৈধ সংযোগে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
প্রকৌশলী নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস আরও জানান, অভিযান পরিচালনার খবর পেয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় অসাধু চক্রের সদস্যরা বাসাবাড়ির মালিকদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে রাতের আঁধারে এসব অবৈধ সংযোগ দেয়।
অভিযানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন জোবিঅ গাজীপুরের উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এস এম আবু সুফিয়ান, প্রকৌশলী মির্জা শাহনেওয়াজ লতিফ, প্রকৌশলী মো. মোশাররফ হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাবিনুর রহমান ও মজিবুর রহমান এবং রাজস্ব উপশাখার সহকারী ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন, সহকারী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও টেকনিক্যাল দল।