গৌরীপুরে যুবলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রতারণার অভিযোগ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছানাউল হক ওরফে হক মিয়ার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক কলেজছাত্রী। অভিযোগে বলা হয়েছে, ধর্ষণের পর তিনি সন্তানসম্ভবা। কিন্তু সেটি অস্বীকার করছেন যুবলীগনেতা। তবে এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও যুবলীগনেতার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত ১৬ জুন ওই কলেজছাত্রী ময়মনসিংহ জেলা শিশু ও নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়ে নালিশি আবেদন করেন। আদালত নালিশ আমলে নিয়ে ময়মনসিংহ জেলা পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ছানাউল হক ওরফে হক মিয়ার বাড়ি গৌরীপুর পৌরসভার গজন্দর গ্রামে। তিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, তার ভাই যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর সূত্রে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছানাউল হক প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসতেন। চার বছর ধরে তাদের পরিচয়। একপার্যায়ে ময়মনসিংহ শহরের একটি হোটেলে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে তাঁকে ধর্ষণ করেন ছানাউল। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে বিয়ে নিবন্ধন ও দ্রুতই আবার সন্তান নেওয়ার শর্তে তিনি দুই মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট করেন। পরে তার হাতে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরের একটি কাবিননামা তুলে দেওয়া হয়।
এরপর গাজীপুর গিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে তারা বসবাস শুরু করেন। ফের অন্তঃসত্ত্বা হন কলেজছাত্রী। চলতি বছরের ১২ মার্চ ঘটনাটি জানতে পেরে ছানাউল হক এটা তার সন্তান নয় দাবি করার পাশাপাশি বিয়ের নিবন্ধনও ভুয়া বলে জানান।
এরপর গৌরীপুর থানায় মামলা করতে গিয়ে ব্যর্থ হন বলে অভিযোগ করেন কলেজছাত্রী। তিনি এখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ফলে সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বলে দাবি করেন তিনি।
ময়মনসিংহ পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. ফিরোজ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই কলেজছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সব কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। খুব দ্রুতই তদন্তকাজ শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য আজ শুক্রবার দুপুরে ছানাউল হক ওরফে হক মিয়ার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।