ঘর পাচ্ছেন ফরিদপুরের বীরাঙ্গনা মায়া রানী
নারী মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা মায়া রানী সাহাকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের শোভারামপুর এলাকার মায়া রানী সাহার ঘর নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
ঘর নির্মাণের কাজের উদ্বোধন করেন ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুম রেজা। এ সময় উপজেলার অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মো. মাসুম রেজা জানান, ফরিদপুরে মোট পাঁচজন বীরাঙ্গনা রয়েছেন। এদের প্রত্যেককে একটি করে ঘর নির্মাণ করে দেবে সরকার। মায়া রানীর থাকার জায়গার অভাবের কারণে একটু আগেভাগেই আমরা ডিজাইন ঠিক রেখে নির্মাণকজের উদ্বোধন করেছি। মায়া রানী সাহাকে এই ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে।
এ সময় মায়া রানীর হাতে ১০ কেজি চাল, পাঁচ কেজি আলু, দুই কেজি তেল, লবণসহ নানা ধরনের খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ফরিদপুরের শোভারামপুরে নিজ বাড়িতে ১৬ বছর বয়সে হানাদার বাহিনী ও স্থানীয় দোসরদের দ্বারা নির্যাতিত হন নারী মুক্তিযোদ্ধা মায়া রানী সাহা। তবে তাঁর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না থাকায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছিলেন। বিষয়টি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ব্যবস্থা করেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক একটি প্রতিবেদন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠান। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তাঁকে স্বীকৃতিস্বরূপ নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) গেজেটভুক্ত করে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব রবীন্দ্রনাথ দত্ত স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাঁর নাম যুক্ত করা হয়।
স্বীকৃতির পরে বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা মায়া রানীকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক তাঁর কার্যালয়ে গত ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর সম্মাননা জানান।