ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং : মাধ্যমিক বন্ধ থাকলেও ৩ বিভাগে খোলা সব প্রাথমিক বিদ্যালয়
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়েছে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগ। সকালে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকতে দেখা যায়। গাছ ভেঙে পড়েছে। অনেক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে জমে আছে পানি। আবার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোলা আশ্রয়কেন্দ্রে ছিল মানুষ। এসব বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই আদেশ মেনে বন্ধ রাখা হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ। তবে, প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না থাকায় খোলা রয়েছে এই তিন বিভাগের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপকূলে আঘাত হেনে ধীরে ধীরে শক্তি কমে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এখন রূপ নিয়েছে নিম্নচাপে। মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করেছে। এতে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে বিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্ন জেলায় ১৫ জন নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে কারণে এই তিন বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আপাতত ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সেগুলোতে পাঠদান বন্ধ থাকবে।
যদিও আজ সকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজগুলো বন্ধ রাখা হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রাথমিক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে, যেসব স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, উপজেলা প্রশাসন মনে করলে তারা সেই প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখতে পারবে।’
খুলনা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন বলেন, ‘রাতে তথ্য জানা ও জানানো অনেকটা কঠিন ছিল। এজন্য সকালে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
এদিকে, খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম জানান, তাদের কাছে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের কোনো নির্দেশনা নেই।
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা প্রসঙ্গে বলেন, ‘হাই স্কুল ও কলেজের জন্য নির্দেশনা থাকতে পারে। আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর থেকে স্কুল বন্ধের কোনো নির্দেশনা নেই। তবে, যেসব স্থানে দুর্যোগ বেশি হয়েছে, সেগুলো প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বন্ধ রাখবে।’
একই তথ্য তুলে ধরে সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক কর্মকর্তা মির্জা হোসনে ইয়াসমীন করিমি বলেন, ‘বন্ধের নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে।’