চট্টগ্রামে যাত্রীবেশে ছুরিকাঘাত, আহত চালকের মৃত্যু
দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত অটোরিকশার চালক মারা গেছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মৃত্যু হয় তাঁর।
নিহত অটোরিকশাচালকের নাম সাইমন। তিনি উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ফজলুরপাড়া এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মজিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত শনিবার রাতে লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নের নির্জন স্থানে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ছদ্মবেশী যাত্রীরা সাইমনকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর চিকিৎসার ব্যয় চালিয়ে নেওয়ার মতো পরিবারের আর্থিক অবস্থা না থাকায় স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও দানশীল ব্যক্তিরা অর্থ সংগ্রহ করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিল।
সাইমনের বাবা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২৩ জুলাই রাত আনুমানিক ৯টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত যাত্রী সেজে সাইমনের অটোরিকশায় ওঠে। প্রথমে তারা ঠাকুরদিঘী যাবে বলে ভাড়া করলেও পরে কয়েক দফায় কথা বলে কৌশলে সাইমনকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে চুনতি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানেই নির্জন স্থানে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর হাত, পেট ও ঊরুতে একাধিক ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়।
আহত অবস্থায় পথচারীরা দেখতে পেয়ে সাইমনকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে ওই রাতেই চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর দীর্ঘ সময় অস্ত্রোপচার শেষে তাঁকে পরদিন ভোরে হাসপাতালের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে, সাইমনের বাবা সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই আমার ছেলেকে যাত্রী বেশে দূরে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করা হয়। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছদাহার এক অটোরিকশাচালক লোহাগাড়ায় ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছিলেন বলে শুনেছিলাম। ঘটনাস্থল যেহেতু লোহাগাড়ায়, এ বিষয়ে লোহাগাড়া থানা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। তারপরেও আমরা বিষয়টির বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি।’