চলন্ত ট্রাকে ‘ধর্ষণ’ : ৯৯৯-এ ফোন করা যুবক পুরস্কৃত
সিরাজগঞ্জে গত ২২ জুন চলন্ত ট্রাকে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি টের পেয়ে সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে পুলিশকে জানান ইউনুস আলী সুমন নামের এক যুবক। এরপর সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারের (এসপি) নির্দেশে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা পুলিশ কড্ডার মোড় থেকে অভিযুক্ত ট্রাকচালক ও তাঁর সহকারীকে আটক করে। এ সময় ওই তরুণীকেও উদ্ধার করা হয়।
এবার ওই তরুণীকে রক্ষায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা সেই ইউনুস আলী সুমনকে পুরস্কৃত করেছে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে এসপি হাসিবুল আলম পুরস্কারের অর্থ ইউনুস আলীর হাতে তুলে দেন।
ইউনুস আলীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এসপি হাসিবুল আলম বলেন, ‘পুলিশের একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়। এমন মহতি কাজে সমাজের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারহানা আকতার, নুর মোহাম্মদ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল আহাম্মেদ, সাংবাদিক হীরক গুণ, অশোক ব্যানার্জীসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২২ জুন ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে চলন্ত ট্রাকে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে চালক সোহেল রানা ও তাঁর সহকারী আব্দুল ওয়াহাবকে আটক করে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা পুলিশ। এ সময় ট্রাক থেকে ওই তরুণীকেও উদ্ধার করা হয়।
আটক ট্রাকচালক সোহেল রানা (৩২) বগুড়া সদর উপজেলার আশাখোলা গ্রামের বাসিন্দা।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন জানিয়েছিলেন, গত ২২ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে গণপরিবহণ না পেয়ে গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে বগুড়ায় যাওয়ার জন্য একটি ট্রাকে ওঠেন এক তরুণী। চন্দ্রা থেকে ছেড়ে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় এলে ট্রাক থামিয়ে কৌশলে অন্য যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে শুধু ওই তরুণীকে নিয়ে ট্রাকটি বগুড়ার দিকে রওনা হয়। এ সময় সন্দেহ হলে ট্রাক থেকে নেমে যাওয়া ইউনুস আলী সুমন ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কড্ডা থেকে পুলিশ ট্রাকচালক সোহেল ও তাঁর সহকারী ওয়াহাবকে আটক করে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুজনের বিরুদ্ধে তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ করেন।