চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশের গুলি
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে আজ মঙ্গলবার বিকেলে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
এর আগে কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয় এবং পশ্চিম বাজারে একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়। দুপুরে ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ কিছু নেতাকর্মী সেই মঞ্চ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আসেন নেতা-কর্মীরা। সমাবেশ চলাকালে এক পক্ষ হঠাৎ ইটপাটকেল মারা শুরু করলে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। একপর্যায়ে সমাবেশে আসা লোকজনও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। উভয় পক্ষকে নিবৃত করতে পুলিশ ১২২টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ কিছু নেতা-কর্মী স্থানীয় রাফা টাওয়ার ও একুশে ডিজিটাল হাসপাতাল ভাঙচুর করে। পাশাপাশি চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের কয়েকটি যানবাহনও ভাঙচুর করে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন জানান, হাজীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আওয়ামী লীগ যে সমাবেশ করবে এ বিষয়ে থানা থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেও জানান আফজাল হোসেন।