চাকরি ছেড়ে ‘উন্নত’ জাল টাকা বানাতেন প্রকৌশলীরা
অতিরিক্ত টাকার লোভে বৈধ চাকরি ছেড়ে দিয়ে শুরু করেন জাল টাকা তৈরি অবৈধ কাজ। গোপনে গোপনে এই কাজ করছিলেন দুজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীসহ মোট চারজন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের একটি জাল টাকার মিনি কারখানায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের গুলশান বিভাগ।
গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ৪৬ লাখ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির সামগ্রী জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় একজন নারীসহ তিন পুরুষকে আটক করা হয়।’
মশিউর রহমান বলেন, ‘আটককৃতরা হলেন জীবন, পিয়াস, ইমাম হোসেন ও ভীদে। এদের মধ্যে আটক জীবন এর আগেও জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে একাধিকবার জেল খেটেছেন। পিয়াস ও ইমাম হোসেন বরিশাল পলিটেকনিক থেকে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার সাইন্স বিষয়ে ডিপ্লোমা করেন।’
‘প্রকৌশলী দুজন একটি মুঠোফোন কোম্পানির নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। আর ভীদে বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক কলেজ থেকে ডিপ্লোমা শেষ করেন। বেশি টাকা আয়ের লোভে তিনিও বৈধ চাকরি ছেড়ে জাল টাকা তৈরির অবৈধ কাজে যোগদান করেন। এই দুই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের তৈরি জাল টাকার কোয়ালিটি যথেষ্ট উন্নত।’
আটকদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে মশিউর রহমান বলেন, ‘ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জাল টাকা তৈরির বড় ধরনের পরিকল্পনা ছিল তাদের। প্রথমদিকে তারা সাভারের জ্ঞানদা এলাকায় জাল টাকা তৈরি করলেও গত তিন মাস ধরে কামরাঙ্গীরচরে জাল টাকা তৈরি শুরু করেন।’
মশিউর রহমান বলেন, উদ্ধার করা সামগ্রীগুলো হলো দুটি ল্যাপটপ, দুটি প্রিন্টার, হিট মেশিন, বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিন, ডাইস, জাল টাকার নিরাপত্তা সুতা, বিভিন্ন ধরনের কালি, আঠা ও স্কেল কাটারসহ আরও সামগ্রী।