চিকিৎসক সংকটের চিত্র দেখে হতাশ স্বাস্থ্যসচিব
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেছেন, ‘বরিশালে চিকিৎসকের প্যাটার্ন দেখে আমরা খুবই হতাশ। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ৫৮ জনের স্থলে আছে ১২ জন, বরিশালে ২২৪ জনের ভেতরে ১৫০ জন।’
স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘খুবই নাজুক অবস্থা, দেখে নিজের কাছে কষ্ট লেগেছে। আমরা চেষ্টা করবো স্বল্প সময়ের মধ্যে এর সমাধান করতে। চিকিৎসক-নার্সদের সংকট নিরসনে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এবং হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে কোনো নার্স নেই আমরা সব নিয়ে আসছি। নতুন চিকিৎসকরা আগামী অল্প দিনের মধ্যে যোগদান করলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।’
আজ শনিবার দুপুরে বরিশাল শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে বিভাগীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদলের সভাপতিত্বে সমন্বিত কোভিড ব্যবস্থাপনা বরিশাল মডেল বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠানে একথা বলেন স্বাস্থ্যসচিব।
স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া আরও বলেন, ‘করোনা কাউকেই করুণা করে না। ঢাকা শহরে এখন যতো রোগী ভর্তি আছে সব গ্রামের। আমি রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভিজিট করে এই তথ্য জেনেছি।
এ সময় তিনি সবাইকে মাস্ক পরার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন। টিকা নিয়ে বাংলাদেশে কোনো সমস্যা হবে না। চীন থেকে প্রচুর পরিমাণে টিকা আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়া দ্রুত আমরা দেশে করোনার টিকা উৎপাদন শুরু করব।’
দেশে আমরা দ্রুত অক্সিজেনারেটর আমদানি করছি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘এই মেশিন বাতাস থেকে প্রতি মিনিটে ৫০০ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে। এই একটি মেশিন ১০০ জনকে অক্সিজেন দিতে সক্ষম। ইতোমধ্যে আমরা তিনটি অক্সিজেনারেটর আমদানি করছি। যেগুলো চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও গোপালগঞ্জে ব্যবহৃত হচ্ছে। আরও ৮০টি মেশিন আমদানি করা হচ্ছে। দ্রুতই বরিশালবাসী অক্সিজেনারেটর পাবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বশির আহমেদ, বরিশাল রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক এসএম আক্তারুজ্জামান, বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস, বরিশাল পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক এম ডি আব্দুস সালাম এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ হেলথ সেকশন চিফ সানজানা ভার্দওয়াজ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সমন্বিত কোভিড ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এরপর সবার অংশগ্রহণে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।