ছয় লাখ তিন হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন
২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭২ সালের ৩০ জুন ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ। ওই বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার। এর ওপর ভিত্তি করেই এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
এবারের বাজেট অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের দায়িত্বকালের তৃতীয় বাজেট, আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম এবং বাংলাদেশের ৫০তম বাজেট। আর, এটি হবে বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালীন দ্বিতীয় বাজেট অধিবেশন।
এবারের বাজেট প্রণীত হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি উত্তরণের কৌশলকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে। যার সম্ভাব্য আকার দাঁড়াচ্ছে ছয় লাখ তিন হাজার কোটি টাকা। বাজেটের ঘাটতিটাও থাকছে বেশ বড়। আর জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে সাত দশমিক দুই শতাংশ।
এর আগে গত বছর ১০ জুন করোনা মহামারির মধ্যে চলতি অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। এরপর ১১ জুন ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করা হয়।
করোনা মহামারির এই সময়ে এবারও বাজেট অধিবেশনের মেয়াদ স্বল্প সময়ের হওয়ার কথা রয়েছে। আর, সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর বাজেট নিয়ম অনুযায়ী ৩০ জুনের মধ্যে পাস করা হবে।
করোনা মহামারি পাল্টে দিয়েছে অর্থনীতির সব হিসাবনিকাশ। বাজেটে বৈচিত্র্য তো দূরের কথা, হিমশিম খেতে হচ্ছে মৌলিক কাঠামো দাঁড় করাতেই। তাই বাজেটে, স্বভাবতই গুরুত্ব পাচ্ছে সম্পদ আহরণ, বণ্টন এবং করোনা মোকাবেলার কৌশল। অবস্থা অনুকূলে না থাকায়, চলতি বাজেট থেকে মাত্র ছয় শতাংশের মতো বাড়িয়ে, আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয় ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।