জনগণকেই বেছে নিতে হবে তারা কী চান : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণকেই বেছে নিতে হবে তারা কী চান—উন্নত মর্যাদাশীল জীবনের ধারাবাহিকতা, নাকি বিএনপি-জামায়াত জোটের দুর্বৃত্তায়নের দুর্বিসহ জীবন। তিনি বলেন, ‘সঙ্কট আসবে, সঙ্কটে ভয় পেলে চলবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত রয়েছে। সে কারণেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকলে কোনোদিনই বাংলাদেশ এত উন্নতি করতে পারত না। উন্নয়নশীল দেশ হতে পারত না। এখন, জনগণকেই বেছে নিতে হবে তারা কী চান—উন্নত মর্যাদাশীল জীবনের ধারাবাহিকতা, নাকি বিএনপি-জামায়াত জোটের দুর্বৃত্তায়নের দুর্বিসহ জীবন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার। মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। মানুষের ভোগান্তি হোক, কষ্ট হোক, তা আমরা কখনোই চাই না। বৈশ্বিক কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল, তা এখন অনেকটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মূল্যস্ফীতিও হ্রাস পাচ্ছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলসহ কোনো জিনিসের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা সমন্বয় করব।’
সরকারপ্রাধান বলেন, ‘আমাদের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের মাটি ঊর্বর। মাটিতে বীজ ফেললেই যেখানে গাছ জন্মে, সেখানে বাইরে থেকে কৃষিপণ্য আমদানি করতে হবে কেন? আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখবেন না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সঙ্কট আসবে। সঙ্কটে ভয় পেলে চলবে না। জনগণের সহায়তায় আমরা করোনাভাইরাস মহামারি সফলভাবে মোকাবিলা করেছি। বর্তমান বৈশ্বিক মন্দাও আমরা মোকাবিলা করব, ইনশাআল্লাহ। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।’