জনবান্ধব কর্মসূচিতেও সারা দেশ রক্তাক্ত করছে সরকার : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, বিরোধী দলের জনবান্ধব কর্মসূচিতেও সারা দেশ রক্তাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং যুবলীগ ও ছাত্রলীগ।
আজ শুক্রবার জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত শোভাযাত্রার আগে রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
গত ২২ আগস্ট থেকে সারা দেশে বিএনপি জনবান্ধব কর্মসূচি পালন করছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির প্রতিবাদে নেওয়া হয়েছে এই কর্মসূচি। সরকার জনগণকে দুর্ভিক্ষের মধ্যে ফেলে দেওয়ার যে ষড়যন্ত্র করছে তার প্রতিবাদে কর্মসূচি চলছে। কিন্তু এই কর্মসূচি বানচাল করার জন্য সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ সারা দেশ রক্তাক্ত করছে। তিনজনকে হত্যা ও অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করেছে।’
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে রিজভী বলেন, ‘সফরের কয়েকদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছিলেন, সেটা যে মিথ্যা ছিল এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী ভালো করেই জানেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি জিততে পারবেন না। কাজেই তাকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অন্য কোনো পদ্ধতি নিতে হবে। পরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য এখন আমরা বাস্তবায়ন হতে দেখছি।’
সরকারের কড়া সমালোচনা করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘এখন মিছিল-মিটিং দেখামাত্রই গুলি করা হচ্ছে। সেই গুলির আঘাতে কারও চোখ নষ্ট হচ্ছে আবার অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করছে। সরকার কখনও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করবে না, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিশ্বাস করবে না। তারা অন্যের উপর ভর করে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
রিজভী আরও বলেন, মানুষ প্রত্যাশা করেছিল ভারতের সঙ্গে অন্তত সীমান্ত হত্যার বিষয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু এটা নিয়েও প্রধানমন্ত্রী কোনো আলোচনা করেননি। পৃথিবীর কোনো সীমান্ত এত রক্তাক্ত নয়, যতটা রক্তাক্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।