জামালপুরে শাশুড়ি হত্যার ঘটনায় জামাই গ্রেপ্তার
জামালপুরে সুরাইয়া বেগমের ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি তাঁর মেয়ের জামাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের বেলটিয়ায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাব-১৪ জামালপুরের কোম্পানি কামান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে আশিক উজ্জামান বলেন, মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের টুপকারচর গ্রামে হত্যাকাণ্ডের শিকার সুরাইয়া বেগমের (৫০) মেয়ে রোকেয়া খাতুনের (২২) সঙ্গে একই এলাকার রইস উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে আসাদ মিয়ার (২৮) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। সেই কলহের জের ধরে শাশুড়ি সুরাইয়া বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেন মেয়ের জামাই আসাদ। গতকাল বুধবার সকালে নিজের বসতবাড়ির পাশের গোয়ালঘরে পুলিশ সুরাইয়ার গলাকাটা মরদেহ পায়। পরে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করেন তাঁর স্বামী আজিজুল হক (৫৫)। এরপর থেকেই ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাবের একটি আভিযানিক দল। রাতেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি আসাদ মিয়াকে আটক করে র্যাব-১৪। আজ বৃহস্পতিবার আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসাদকে মেলান্দহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুরাইয়া বেগম গতকাল বুধবার ভোরে গোয়ালঘর থেকে গরু বাইরে বের করেন। এ সময় স্বামী আজিজুল ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যান। নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে এসে বসত ঘরের পাশের গোয়ালঘরে তাঁর স্ত্রী সুরাইয়ার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। এ সময় তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে মেলান্দহ থানা পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত সুরাইয়ার তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মা।