টিকটক থেকে সংঘর্ষ, নিহত ১
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় টিকটক ভিডিও তৈরির নামে দুই মেয়েকে করা হচ্ছিল উত্ত্যক্ত। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুরু হয় দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ। এতে সাইফুল আলম নামে একজন নিহত ও অন্তত ২৫ জন আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুরুতর আহত তিনজনকে ভর্তি করা হয় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে। পরে পুলিশ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গতকাল বুধবার (১ মার্চ) ছাতক পৌরসভার সুরমা সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল আলম (৪৫) ছাতক উপজেলার মুক্তিরগাও গ্রামের মৃত চমক আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যার দিকে ছাতক পৌরসভার সুরমা সেতুতে ওই দুই মেয়ে বেড়াতে আসে। এ সময় বাঁশখলা গ্রামের কয়েকজন ছেলে টিকটক ভিডিও তৈরির নামে তাদের উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এসময় মুক্তিরগাওয়ের মামুনসহ কয়েকজন প্রতিবাদ করে। পরে মামুনকে ছুরিঘাত করে উত্ত্যক্তকারীরা। এই খবর পেয়ে দুই গ্রামের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় তিনঘণ্টা ধরে চলে এই সংঘর্ষ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থালে পৌঁছে টিআরশেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে সাইফুলসহ চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সাইফুলের মৃত্যু হয়।
পুলিশ বলছে, বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সাঈদ বলেন, ‘বেড়াতে আসা মেয়েদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করার প্রতিবাদে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে, দেশীয় অস্ত্রসহ দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিআরশেল ছুড়েছে।’