ঢামেকে অগ্নিকাণ্ড : তদন্তে তিন কমিটি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখতে তিনটি তদন্ত কমিটি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক আজ বুধবার বিকেল পৌনে ৩টায় এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারণ জানতে হাসপাতালের পক্ষ থেকে নয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অধ্যাপক মোজাফর হোসেনকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
নাজমুল হক আরও বলেন, 'এ ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে এ ঘটনার কারণ খুঁজে বের করা হবে। কারও কোনো ধরনের গাফিলতি থাকলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
এদিকে একই ঘটনার কারণ খুঁজতে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন জানান। তিনি বলেন, 'অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূর হাসান আহমেদকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।'
ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় করোনা ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আজ সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তারপর আইসিইউ থেকে স্থানান্তরের পর তিনজন রোগী মারা যান।
যদিও হাসপাতালের পরিচালক নাজমুল হকের দাবি, ‘আইসিউতে থাকা রোগীরা সবাই ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে ছিলেন। তাদেরকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। আগুনের ঘটনার পর তাদেরকে অন্য স্থানে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে মারা যান। তাদের কেউ অগ্নিদগ্ধ হয়নি কিংবা ধোঁয়ায় মারা যাননি।'
সকালে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেছিলেন, 'আমাদের পাঁচটি ইউনিট সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কোনো মৃত্যুর খবর আমরা পাইনি। আগুন লাগার পর সেখানে প্রচণ্ড ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়৷ পরে আমরা আইসিইউর জানালা ভেঙে ধোঁয়া বের করার ব্যবস্থা করি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে পরে জানানো হবে।'