দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রী সব সময় সজাগ থাকেন : প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণপ্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সব সময় দুর্যোগে সজাগ থাকেন। যেকোনো দুর্যোগ-দুর্ঘটনা ঘটলে যতক্ষণ পর্যন্ত সেটা প্রশমিত না হয় তিনি ঘুমান না। আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখেন, নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। যেদেশে প্রধানমন্ত্রী ঘুমান না, সেদেশের জনগণের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সদরঘাট নৌ-টার্মিনালে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে ‘ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডে সচেতনতা বৃদ্ধির মহড়া’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় এনামুর রহমান বলেন, ‘গত সিলেটের বন্যায় প্রধানমন্ত্রী দ্রুত পদক্ষেপ না নিতেন, লাখ লাখ মানুষ পানির নিচে ডুবে মারা যেত। আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার ভলেন্টিয়ার—সবার যা বোট আছে, তাই নিয়ে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যেতে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সেনাবাহিনীর ছয়টি হেলিকপ্টার সিলেট-সুনামগঞ্জে অনুসন্ধান চালিয়েছে এবং সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বর্ডার গার্ডের বোট একযোগে কাজ করছে। যার জন্য একদিনে ৯ লাখ ৫০ হাজার লোককে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী সজাগ না থাকলে, হয়তো এই মানুষগুলো পানিতে ডুবে মারা যেত। আপনাদের পাশে প্রধানমন্ত্রী সবসময় জেগে মঙ্গলের জন্য কাজ করেন।’
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যদের সাহসিকতার প্রশাংসা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল। এর সব কৃতিত্ব আমাদের ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১৩ জন সদস্য, গুলশানে একজন সদস্য জীবন হারিয়েছেন। তাদের সাহস, সক্ষমতা, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার জন্য আজ বাংলাদেশ রোলমডেল হতে পেরেছে।’
ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ২২০ কোটি টাকার সরঞ্জাম কিনেছি। প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের বাজেট দুই হাজার ২৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। যার প্রথম বরাদ্দ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই হাজার ২৭২ কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এরইমধ্যে বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ের শহর সমূহের জন্য ৬৫ ও ৫৫ মিটার উচ্চতায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর লক্ষ্যে উন্নত মানের লেডার (মই) ক্রয় করা হয়েছে।’
এর আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের অংশগ্রহণে সদরঘাট ৪নং টার্মিনালে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দুর্যোগকালীন মুহূর্তে সদস্যদের কর্মতৎপরতা প্রদর্শন ও বাসাবাড়িতে অগ্নিনির্বাপণ পদ্ধতি দেখানো হয়।