দেশে আরও ১৩ জনের মধ্যে করোনার ভারতীয় ধরন, ৭ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জের
দেশে নতুন করে আরও ১৩ জনের শরীরে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই ১৩ জনের মধ্যে সাতজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এই ১৩ জনের মধ্যে পাঁচজন সম্প্রতি ভারত ভ্রমণ করে দেশে ফিরেছেন।
জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটার (জিআইএসএআইডি) ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে করোনার এ ধরন শনাক্তের খবর গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে। এরই মধ্যে নতুন করে শনাক্ত হওয়া এই ব্যক্তিদের নমুনা নিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ২০ জন ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনের উপস্থিতি পেয়েছেন গবেষকেরা।
এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে স্থানীয় প্রশাসনের জারি করা বিশেষ লকডাউনের পঞ্চম দিন আজ। লকডাউনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রধান প্রধান মার্কেট বন্ধ রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী-নওগাঁ সড়কসহ আন্তউপজেলা সড়কে চলাচল করছে না যাত্রীবাহী বাস ও মাঝারি যান।
লকডাউনের পঞ্চম দিনে আজ শনিবার সকাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর ও শহরতলীর চিত্র ভিন্ন দেখা গেছে। আগের দিনগুলোর তুলনায় শহরে মানুষের উপস্থিতি অনেক কম দেখা গেছে। সড়কগুলো অনেকটাই ফাঁকা। ধারণা করা হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত সাতজনের দেহে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ার খবর গণমাধ্যমে প্রচারের পর সতর্কতা হিসেবে মানুষ বাড়ি থেকে কম বের হচ্ছে। তবে শহরে কিছু রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া আজ সকালের দিকে কাঁচা বাজারে মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে।
এদিকে, লকডাউন বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। একদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে অন্যদিকে, জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে পুলিশ যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ‘সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশিরা দেশে ঢুকছেন। এর ফলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য আগামী সাত দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হলো।’
লকডাউনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে রোগী বহনকারী যানবাহন, জরুরি পণ্য ও সেবা পরিবহণ ছাড়া সব ধরনের যানবহন বন্ধ থাকার কথা রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-নওগাঁ রুটে যান চলাচল করবে না বলেও জানানো হয়। সব বাজারের দোকানপাট ও সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকবে বলেও জানায় স্থানীয় প্রশাসন। তবে আমের বাজার ও আড়ত পৃথক পৃথক জায়গায় অবস্থানের মাধ্যমে বেচা-কেনা করা যাবে।