নওগাঁয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আরও ৮ নেতাকর্মী কারাগারে
নওগাঁর সদর ও মান্দা উপজেলায় নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা পৃথক দুটি মামলায় বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের আট নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদের আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক ও বিশ্বজিৎ সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নওগাঁ সদর উপজেলায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীরা হলেন—জেলা যুবদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জেড এইচ খান মানিক ও দেওয়ান মোস্তাকিন আহম্মেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম ও জেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান বাদশা।
মান্দা উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা হলেন—মান্দা উপজেলা বিএনপির সদস্য মামুনুর রশিদ, গনেশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বকুল চৌধুরী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সামসুল ইসলাম ও গনেশপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মিঠুন হোসেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় নওগাঁ শহরের কেডির মোড় এলাকায় আস্তান মোল্লা কলেজের সামনে সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ও দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওই মামলায় এজহারভুক্ত চার আসামি আজ মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন। আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২৫ নভেম্বর রাতে উপজেলার কয়াপাড়া কামারকুড়ি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অভিযান চালিয়ে মান্দা থানা পুলিশ ককটেলসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় মান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মান্দা উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা হিসেবে ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওই মামলার এজহারভুক্ত চার আসামি আজ দুপুরে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির জামিনের জন্য আবেদন করেন। আদালত তাঁদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।