নরসিংহপুর ফেরিঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় চার শতাধিক গাড়ি
খুলনা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে চার শতাধিক যানবাহন। আজ বুধবার সকাল থেকে ঘাটে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যানবাহনের এ জট দেখা যায়।
চট্টগ্রামের মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের উরস ও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এই ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে বলে জানান, বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আব্দুল মমিন।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, মোংলা স্থলবন্দর, ভোমরা স্থলবন্দর, বেনাপোল, বরিশাল, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার পরিবহণ চট্টগ্রাম-খুলনা মহাসড়কের শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাট দিয়ে নদী পারাপার হয়ে থাকে। এখন প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৪৩০টি যানবাহন পারাপার হয়।
নরসিংহপুর ফেরিঘাট থেকে খায়েরপট্টি মোড় পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি। খায়েরপট্টি থেকে ফেরির টোল প্লাজা পর্যন্ত দুই সারিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে যানবাহন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ফেরি পার হতে আসা যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক খোলা আকাশের নিচে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছে। পারাপারের জন্য তিন-চার ঘণ্টা পর বাসগুলো সিরিয়াল পেলেও ট্রাক দুই-তিন দিনেও সিরিয়াল পাচ্ছে না। পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের মধ্যে ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
নরসিংহপুর ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আব্দুল মোমিন বলেন, পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অন্য দিকে মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফে যাত্রীবাহী বাস যাওয়ার কারণে গাড়ির চাপ বেড়ে গেছে।