নাবিক হাদিসুরের মরদেহ কাল দেশে আসার সম্ভাবনা
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ আগামীকাল সোমবার দেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ দেশে আসার কথা থাকলেও ঝড়ের কারণে তুরস্কে ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। ফলে আজকে ‘আগের বুকিং বাতিল করে নতুন করে বুকিং করা হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী।
হাদিসুরের মরদেহ তুরস্ক এয়ারলাইন্সে ইস্তাম্বুল হয়ে দেশে আসার কথা ছিল। রোমানিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলীর বরাত দিয়ে বিএমএমওএ’র সভাপতি ক্যাপ্টেন এনাম চৌধুরী বলেছেন, ‘ইস্তাম্বুলে ভারী তুষারপাতের কারণে ঢাকাগামী হাদিসুরের লাশবাহী ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে বলে দূতাবাস আমাদের জানিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামীকাল সোমবার হয়তো হাদিসুরের লাশ দেশে পৌঁছবে।’
২ মার্চ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে হামলায় নিহত হন হাদিসুর রহমান। পরিবারের দাবি ছিল—অন্তত মরদেহটি যেন তাঁরা পান। এরপরই হাদিসুরের মরদেহ ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করে দেশে আনতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এর আগে শনিবার রাতে রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেছিলেন, ‘রোমানিয়া সময় রাত পৌনে ১০টায় নাবিক হাদিসুরের মরদেহ টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। বাংলাদেশ সময় ২টায় হাদিসুরের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।’
গত শুক্রবার হাদিসুরের লাশ ইউক্রেন থেকে মালদোভায় পৌঁছায়। সেখান থেকে শনিবার সকালে রোমানিয়ায় পৌঁছায়।
হাদিসুর নিহতের পর ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ থেকে বাকি ২৮ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। ওই ২৮ নাবিককে ইউক্রেন থেকে মলদোভা হয়ে রোমানিয়ায় নিয়ে যায় সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস। গত ৯ মার্চ রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে তাঁদেরকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।