নিরাপদ আশ্রয়ে আছেন উপকূলীয় ২ লাখের বেশি মানুষ
ঘর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবল থেকে বাঁচাতে দেশের ১৫টি উপকুলীয় জেলা থেকে গতকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুই লাখ ১৯ হাজারেরও বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়। তাঁরা নিরাপদে আছেন।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়েছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ‘বিকেল ৫টা পর্যন্ত উকূপলীয় ১৫ জেলার প্রায় দুই লাখ ১৯ হাজার ৯৯০ জনকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।’ ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব এম. মনিরুজ্জামান ছয় হাজার ৯২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার কথা জানান।
গতকাল উপকূলীয় পটুয়াখালি ও বরগুনা জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানিয়েছিলেন, সর্বশেষ নির্দেশনায় পায়রা, মোংলা ও চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়।
এদিকে, সোমবার দিনগত রাতে আবহাওয়া অফিস জানায়, সিত্রাং আঘাত হেনে তার গতিপথ বদলালে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে বিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়।
সে সময় আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে ঢাকা–কুমিল্লা–ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। রাতেই ঘূর্ণিঝড়টি সিলেট হয়ে ভারতে প্রবেশ করবে।
জানা গেছে, সিত্রাং শেষে আজ ভোর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করায় ঘরে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আশ্রয়ে থাকা মানুষেরা।