নেত্রকোনার সাহিত্যকর্ম দিয়েই বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমৃদ্ধ : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, নেত্রকোনা জেলার সাহিত্যকর্ম দিয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল সমৃদ্ধ হয়েছে।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দুই দিনব্যাপী নেত্রকোনা জেলা সাহিত্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থেকে স্থানীয় পাবলিক হলে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন ।
নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য স্থান উল্লেখ করে কে এম খালিদ বলেন, ‘কবি সাহিত্যিক লেখকদের চারণভূমি হিসেবে পরিচিত নেত্রকোনা জেলা। নেত্রকোনাকে সংস্কৃতির সৃষ্টি বলা চলে।’
কে এম খালিদ বলেন, ‘বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় পরিসরে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় প্রতি বছরই প্রায় সাত লাখ বর্গফুট এলাকা জুড়ে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এত বড় পরিসরে মাসব্যাপী বইমেলা বিশ্বের অন্য কোথায়ও হয় না।’
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নেত্রকোনা জেলা সাহিত্য-সংস্কৃতির দিক থেকে অনেক সমৃদ্ধ। এ জেলার সাহিত্যকর্ম দিয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহকেও সমৃদ্ধ করেছে। বৃৎত্তর ময়মনসিংহ এলাকার অংশ হিসেবেই এক সময় নেত্রকোনাকে চেনা হতো। তখন লেখা হয়েছিল বিশ্বখ্যাত ময়মনসিংহ গীতিকা। তৎকালীন সময়ে ময়মনসিংহ গীতিকা না লিখে এখন লেখা হলে গীতিকাটির নামকরণ হয়ত করা হতো নেত্রকোনা গীতিকা।’
জেলা পর্যায়ে সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে জেলা প্রশাসন দুই দিনব্যাপী ওই মেলার আয়োজন করে। মেলায় প্রবন্ধপাঠ, লেখক কর্মশালা, কবি কণ্ঠে কবিতা ও ছড়া পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন নেত্রকোনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, সাবেক সচিব উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. শামীম খান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অসিত সরকার সজল, পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুল আলম লিটন, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরুল আমিন প্রমুখ। আলোচনায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলা একাডেমির পাণ্ডুলিপি সম্পাদক আবু শামস্ নূর মোহাম্মদ।
আলোচনা সভা শেষে প্রবন্ধ পাঠ করেন—প্রাবন্ধিক ও ছড়াকার সঞ্জয় সরকার, কবি ও প্রাবন্ধিক সরোজ মোস্তফা এবং গবেষক ও প্রাবন্ধিক রাখাল বিশ্বাস।
এসময় প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকার, প্রাবন্ধিক অধ্যাপক মতীন্দ্র সরকার ও অধ্যাপক বিধান মিত্র।