নেত্রকোনায় ছবি-ভিডিও ধারণে বাধায় পূজামণ্ডপে হামলার অভিযোগ, আটক ৬
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ‘আরতি প্রতিযোগিতা’র ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেওয়ায় হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগে উঠেছে। এই অভিযোগে ছয় কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। মোহনগঞ্জ উপজেলার নারাইচ গ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটে এই ঘটনা। পরে পুলিশ ওই ছয়জনকে আটক করে।
আজ শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) মোহনগঞ্জ ইউএনও ছাব্বির আহমেদ আকঞ্জি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আটক কিশোররা হচ্ছে—অনন মিয়া, নিশাদ, ফারুক মিয়া, সাবিকুল মিয়া, এস এম মুন্না খান ও অপু মিয়া। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি ওই উপজেলার সোয়াইর ইউনিয়নের হাটনাইয়া গ্রামে।
উপজেলার নারাইচ গ্রামের যুব সংঘের কোষাধ্যক্ষ অন্তর সরকার জানান, তাদের সংগঠনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে নারাইচ গ্রামে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যার পর আয়োজন করা হয় আরতি প্রতিযোগিতা। এতে নারাইচ গ্রামের বেশকিছু তরুণ-তরুণী অংশ নেয়।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে পার্শ্ববর্তী হাটনাইয়া গ্রামের ৯-১০ জন কিশোর সেখানে গিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে শুরু করে। আয়োজকরা এতে বাধা দেন। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে ওই কিশোররা পূজামণ্ডপে উপস্থিত লোকজনের ওপর হামলা চালায় এবং সরস্বতীর প্রতিমাও ভাঙচুর করে। তাদের হামলায় হৃদয় বিশ্বাস ও শাওন সরকার নামে নারাইচ গ্রামের দুই কিশোর আহত হয়। তাদের মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, রাতেই আদর্শনগর ফাঁড়ির পুলিশ ও মোহনগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাটনাইয়া গ্রামের ছয় কিশোরকে আটক করে। এ ঘটনায় রুবেল সরকার নামে একজন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বাকি হামলাকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহমেদ আকঞ্জি বলেন, ‘পূজার সময় কয়েকনের সঙ্গে পূজারিদের হাতাহাতির ঘটনা হয়েছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’