পঞ্চগড়ে বিএনপিনেতা আরেফিনের দাফন সম্পন্ন
পঞ্চগড়ে বিএনপির গণমিছিলে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত বিএনপিনেতা আব্দুর রশিদ আরেফিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের পাথরাজ হরিপুর গ্রামের কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
এর আগে আজ রোববার বিকেলে হরিপুর জোত-দেবীকান্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র ও রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম কাচ্চু, সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম, বোদা পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান সুজা, পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু বক্কর ছিদ্দিকসহ জেলার পাঁচ উপজেলার বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা, আত্মীয়স্বজন, এলাকাবাসীসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।
জানাজার আগে আজ বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে আরেফিনের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে শুরু হয় শোকের মাতম। পরিবার ও স্বজনদের কান্নায় আকাশ ভারি হয়ে ওঠে। মা আনোয়ারা বেগম ও তাঁর স্ত্রী চামেলী বেগম বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। ১১ বছর বয়সী ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহী বাবাকে হারিয়ে পাগলপ্রায়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মী ও আত্মীয়স্বজনরা আরেফিনের বাড়িতে সমবেদনা জানাতে আসেন।
উল্লেখ্য, পঞ্চগড়ে গতকাল শনিবার বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গণমিছিলে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপিনেতা আব্দুর রশিদ আরেফিন নিহত হন। এ সময় পুলিশসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স দাবি করেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ হামলা চালায়। এতে পঞ্চগড় জেলার বোদা থানার ময়দানদীঘি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিন নিহত হন।’