পরী মণি প্যানিক অ্যাটাকের রোগী : জামিন আবেদনে আইনজীবী
চিত্রনায়িকা পরী মণির আইনজীবী মজিবুর রহমান দাবি করেছেন, পরী মণি একজন প্যানিক অ্যাটাকের রোগী। দীর্ঘ সময় পুলিশ কাস্টডিতে থেকে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁকে জামিন দেওয়া হোক বলে আবেদন দাখিল করেছেন আইনজীবী মজিবুর রহমান। আজ শুক্রবার এনটিভি অনলাইনকে জামিন আবেদনের কারণ উল্লেখ করেছেন তিনি।
পরী মণির আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, আবেদনে বলা হয়েছে, পরী মণি একজন প্রথম সারির চিত্রনায়িকা। ‘ফোর্বস ম্যাগাজিন’ ডিজিটাল তারকা হিসেবে বিশ্বের ১০০ জনের মধ্যে তাঁর নাম রয়েছে, যা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য গৌরবজনক। আসামি জেলহাজতে আটক থাকলে চলচ্চিত্র অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি ও চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, তা ভঙ্গেরও সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি ‘প্রীতিলতা’ নামক সরকারি সিনেমার জন্য ফটোশুট হয়েছে। এ ছাড়াও কয়েকটি চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের শিডিউল ভেঙে পড়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, পরী মণির বিরুদ্ধে ১৮ দশমিক ৫ লিটার মদ ও অন্যান্য মাদক রাখার অভিযোগ করা হয়েছে, যা আসামির দখল থেকে উদ্ধার করা হয়নি।
আরও বলা হয়, পরী মণিকে ছয় দিন রিমান্ডে রাখার পর তাঁর কাছ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ঘাটন করা যায়নি। পরী মণি একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি। ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আসামি জামিন পেতে পারেন। এ ছাড়া পরী মণিকে আটকের অভিযান পরিচালনার সময় দ্য আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯-এর ৬ এবং ৬এ ধারা লঙ্ঘন করা হয়। এর ফলে একটি ভিত্তিহীন মামলা করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। তাই তিনি জামিন পেতে পারেন।
রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় দুই দফা রিমান্ড শেষে চিত্রনায়িকা পরী মণিকে আজ শুক্রবার ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদ খানায় হাজির করে পুলিশ। দুপুরের পরে তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতের এজলাসে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শহিদুল ইসলাম।
এর আগে গত ৪ আগস্ট রাজধানী বনানীর বাসা থেকে চিত্রনায়িকা পরী মণিকে বিপুল মাদকসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন তাঁর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। এরপর গত ৫ আগস্ট তাঁকে চার দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সেই রিমান্ড শেষে গত ১০ আগস্ট বনানী থানার মামলায় পরী মণিকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস।