পাগলা মসজিদের দানবাক্সে তিন মাসে মিলল প্রায় ৪ কোটি টাকা
\কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে সব রেকর্ড ভেঙ্গে গত তিন মাসে জমা পড়েছে তিন কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা। আজ শনিবার আটটি দানবাক্সের টাকা গুণে এই পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। দানবাক্সে বাংলাদেশি টাকা ছাড়াও ডলার, পাউন্ড, রিয়াল, রিঙ্গিত ও দিনারসহ বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।
আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মদজিদের আটটি দানবাক্স খুলে সেখানে জমা সব কিছু ১৫টি বস্তায় ভর্তি করা হয়। পরে টানা ১০ ঘণ্টার গণনায় এই পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়।
টাকা গণনার কাজে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘টাকা গণনার কাজে মাদ্রাসার ১১২ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য কাজ করেন।’
এর আগে চলতি বছরের ২ জুলাই সর্বশেষ দানবাক্স থেকে তিন কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া যায়। এর আগে ১২ মার্চ দানবাক্স থেকে তিন কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পাগলা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মিয়া বলেন, ‘দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদ এবং এই মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও কবরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তার পাশাপাশি গরিব ছাত্র ও দুঃস্থদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। বিভিন্ন সামাজিক কাজেও টাকা দেওয়া হয়।’
পারভেজ মিয়া আরও বলেন, ‘আজ বিকেলের মধ্যে টাকা গণনার কাজ শেষ হবে। সব টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হবে।’ তিনি বলেন, ‘পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্সকে ঘিরে একটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে মসজিদ কমপ্লেক্স আরও দৃষ্টিনন্দন হবে।’