পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেছে রেকর্ড পরিমাণ টাকা
কিশোরগঞ্জে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ চার কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা পাওয়া গেছে।
পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খুলে আজ শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে ২০ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। পরে সারা দিন গণনা করে এ টাকার পরিমাণ জানা গেছে।
গণনা তত্ত্বাবধায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাংলাদেশি টাকা ছাড়াও ডলার, পাউন্ড, রিয়াল, দিনার, রিঙ্গিত ও দিনারসহ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে। এ কাজে মাদ্রাসার ১১২ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেছেন।’
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পাগলা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মিয়া বলেন, ‘মসজিদের প্রাপ্ত দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদ এবং এই মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গোরস্তানের ব্যয় নির্বাহ করাসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তার পাশাপাশি গরিব ছাত্র ও দুঃস্থদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কাজেও টাকা দেওয়া হয়।’
পারভেজ মিয়া বলেন, ‘সব টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হবে। বর্তমানে পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্সকে ঘিরে একটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে মসজিদ কমপ্লেক্স আরও দৃষ্টিনন্দন হবে।’
এর আগে সর্বশেষ ২০২২ সালের ১ অক্টোবর তিন মাস এক দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড তিন কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গিয়েছিল। এবার তিন মাস ছয় দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।
সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজবিশিষ্ট তিনতলা বিশাল পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জের অন্যতম ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থাপনা।