পাপুলের এমপি পদ ফিরে পেতে রিট খারিজ আদেশ বহাল
মানব ও অর্থপাচারের দায়ে কুয়েতের আদালতে দণ্ডিত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের এমপি পদ বাতিল ও আসন শূন্য ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এর আগে গত ৭ জুন কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের এমপি পদ বাতিল ও আসন শূন্য ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
পাপুলের এমপি পদ বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন তাঁর বোন নুরুন্নাহার বেগম। রিটে লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণার বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়।
গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের বাসা থেকে আটক করা হয় কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে। মানব ও অর্থপাচারের দায়ে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি পাপুলকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন কুয়েতের আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল বা ৫৩ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হয়। সংসদ সচিবালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করে আগামী ২১ জুন ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সংসদ সদস্যের বিদেশে আটক ও ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হওয়ার পর পদ হারানোর ঘটনা এটিই প্রথম।