পাবনায় আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
পূর্ববিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের দয়রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজির উদ্দিন (৩৫) দয়রামপুর গ্রামের ইলবাজ প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, ধোপাদহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল কবির শশি গ্রুপ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী তাজমুল হোসেন মেম্বার গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি শশি গ্রুপের জসিম উদ্দিন নামের একজনকে মারপিট করে তাজমুল গ্রুপের লোকজন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। আজ হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় নাজিরসহ অন্যরা ছাত্রলীগ নেতা শশির বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। জানতে পেরে তাজমুল মেম্বার ও তাঁর লোকজন দুপুরে ওই বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর শুরু করলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে নাজির উদ্দিন ও তাজমুল মেম্বারসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।
তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নাজির উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে সুমন হোসেন, নাছির উদ্দিন, ইলবাজ প্রামাণিক, রাজা হোসেন, জোলেকা খাতুন, তাজমুল মেম্বারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া ) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেন, ‘এটা কোনো রাজনৈতিক কারণে সংঘর্ষ বা মৃত্যু হয়নি। স্থানীয় দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখতে পুলিশকে বলা হয়েছে।’
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সংঘর্ষ ও হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।