পাবনায় দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২২, ভাঙচুর-লুটপাট
পাবনার সাঁথিয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রলীগনেতাসহ কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছে। এ সময় বাড়িতে ভাঙচুরসহ লুটপাটের অভিযোগ করেছে একটি পরিবার। আজ বৃহস্পতিবার আগের সংঘর্ষের জেরে দুপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের আফড়া গ্রামের কাজীলাল ও আনছার পক্ষের মধ্যে বাইচের নৌকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই গ্রামের কাওছার আনছারের বাইচের নৌকায় উঠলে গতকাল বুধবার রাতে কাজীলালের লোকজন ও করমজা ইউনিয়ন আওয়ামী ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুল ইসলামসহ কজন কাওছারকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার পুনরায় দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ধারালো দেশি অস্ত্র লাঠিসোটা ও ইটের টুকরো ব্যবহার করা হয়। এতে উভয় পক্ষের ২২ জন আহত হয়।
আনছার পক্ষের আহতরা হলেন কাওছার (৩৫), হাসনা খাতুন (৫০), রফিকুল ইসলাম (৪০), মঞ্জু (২৫), রাজাই (৪০), ওয়াসিম (২৫), হাইস (২৬), জসিম (২৩), হযরত (৫০) ও জাহাঙ্গীর (৩০)। কাজীলালের পক্ষের আহতরা হলেন পাবনা জেলা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক ও করমজা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম (২৮), লালচাঁদ (৩২), আনার (৩৭), শরীফ (২৫), আলামিন (৪০), আলজব (৩৭), রেজাউল (৪৩), আব্দুল (৪৫), গফুর (৭০) রত্না খাতুন (২৫), আশরাফুল (৪০) ও রোস্তম খা (৬০)।
এদিকে, আফড়া গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরের বেড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। ঘরে প্রবেশ করে ফ্রিজ ও বাক্স ভেঙে গরু বিক্রির ৯০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।’
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে এলাকার পরিবেশ শান্ত করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।