পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা-হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের সাতজন আহত হয়েছে। আহতদের নাজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য পিরোজপুর ও খুলনা পাঠানো হয়। সংঘর্ষের সময় দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে গুলি ছোড়ার অভিযোগ তোলে।

আজ শনিবার বিকেলে নাজিরপুরের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহাবিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান খালেক জানান, সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। তবে, এ সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হয়নি একটি পক্ষ। এরপরই বাইরে তাদের লোকজন মিছিল শুরু করে। একপর্যায় তারা হামলা চালায়। হামলায় সাত থেকে আটজন নেতাকর্মী আহত হন। 

মজিবর রহমান খালেকের দাবি, হামলার সময় তারা পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়েছে। এরপর তারা পিরোজপুর থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে যাওয়া গাড়ি ভাঙচুর করে।

মৎস ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই নূরে আলম শাহীন জানান, সম্মেলনের মাঠে দুপক্ষ মিছিল করছিল। এরমধ্যেই একটি পক্ষের একজন গুলি চালায় ও হামলা করে। হামলায় তাদের পাঁচজনের মতো আহত হন। আহতদের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, নাজিরপুরে সম্মেলনে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। তবে গুলি ছোড়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। নেতাকর্মীদের নিয়ে আসা প্লেকার্ডের সঙ্গে থাকা লাঠির আঘাতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।