‘পুলিশি নির্যাতনে’ রায়হান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল
সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে রায়হান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ একদিন পেছানো হয়েছে। মামলায় অভিযোগের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন, আসামিকে আদালতে হাজির করতে দেরি করা ও কোর্ট রেফারেন্সের কারণে এ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন পেছানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) নওশাদ আহমদ চৌধুরী জানান, বিচারক আব্দুর রহিম মামলার বাদী নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নীকে এজলাসে ওঠানোর পর আসামিপক্ষের আইনজীবী সময় প্রার্থনা করেন। পরে রিট পিটিশন দাখিলের কপি আদালতে জমা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আসামিকে আদালতে হাজির করতে দেরি করায় এবং একজন আইনজীবী মারা যাওয়ায় কোর্ট রেফারেন্সের কারণে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামীকাল বুধবার নির্ধারণ করেন আদালত।
এ মামলার বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশা করছেন নওশাদ আহমদ।
২০২১ সালের ৫ মে আলোচিত এ মামলায় পাঁচ পুলিশসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আওলাদ হোসেন।
গত ১৮ এপ্রিল শুনানি শেষে প্রধান আসামি আকবরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে পুলিশের পাঁচ সদস্য জেলহাজতে রয়েছেন। এ ছাড়া কথিত এক সাংবাদিক পলাতক রয়েছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন—বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, হারুনুর রশিদ ও কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান।
২০২০ সালের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট শহরের আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি সেখানে মারা যান। পরদিন তাঁর স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।