পুলিশে যাওয়া হলো না, লাইনেই কলেজছাত্রের মৃত্যু
গাজীপুরে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার দাবি করলেও পুলিশ বলছে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে মহানগরীর লক্ষ্মীপুরাস্থিত জেলা পুলিশ লাইনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম ফাহিম চৌধুরী (২০)। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা থানাধীন উত্তর খাইলকৈর হিন্দুবাড়ি মোড় এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে। ফাহিম গাজীপুর শহরের কাজী আজিম উদ্দিন কলেজের এইচএসসি পরীক্ষাথী ছিলেন।
নিহতের ফুপাতো ভাই কবির হোসেন খোকন জানান, পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে ফাহিম তার ফুপাতো বোন নাজনীন আক্তার স্বর্ণাকে নিয়ে আজ সকালে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনে যায়। সেখানে চাকরি প্রার্থীদের মাঠে সারিবদ্ধ করে দাঁড় করানো হয়। দুপুর ১২টার দিকে গরমের কারণে সারির পেছনের দিকে দাঁড়িয়ে থাকা ফাহিমসহ অপর দুইজন পাশেই ওয়ারলেস টাওয়ারের নিচে ছায়ায় দাঁড়ায়। এ সময় টাওয়ারের সঙ্গে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে পাশে থাকা একটি এসিতে হাত স্পর্শ হলে ফাহিমসহ দুইজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফাহিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন জানান, গাজীপুরে জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে আজ সকাল থেকে শুরু হয় কনস্টেবল পদে চাকরির ইন্টারভিউ। মহানগরীর লক্ষ্মীপুরাস্থিত জেলা পুলিশ লাইন মাঠে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকাদের মধ্যে ফাহিম পেছনের দিকে ছিল। দুপুর ১২টার দিকে গরমের কারণে ফাহিম সারির পাশেই ওয়্যারলেস টাওয়ারের নিচে ছায়ায় দাঁড়ায়। এ সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিকেলে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসপাতালের চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, নিহতের শরীরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তবে চিকিৎসকের মতে, তার হার্ট অ্যাবনর্মাল ছিল। হার্টের অসুস্থতার কারণে তিনি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, বিদ্যুৎস্পৃষ্টতার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির বিশেষজ্ঞদের এনে ওই টাওয়ারটি পরীক্ষা করা হলেও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।