পোশাক কারখানার ৫৩ শ্রমিকের বেতনের টাকা নিয়ে পালানোর পর গ্রেপ্তার
ঢাকার আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকার পোশাক কারখানা জনরন সোয়েটার লিমিটেডের ইমরান (৩৮) নামের এক কর্মী ৫৩ জনের বেতনের টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করে। এরপর পাঁচ লাখ টাকাসহ ঢাকার কেরাণীগঞ্জে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসা থেকে ইমরানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
শুক্রবার সকালে টাকা উদ্ধারসহ গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেন পরিদর্শক জামাল শিকদার।
এর আগে গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ওই কারখানার ট্রিমিং সেকশনের ডিস্ট্রিবিউটর ইমরান ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়।
গ্রেফতার হওয়া ইমরানের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার বাহাদুরপুর (দক্ষিণ উজানচর) গ্রামে। আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে ওই কারখানায় চাকরি করতেন।
মামলার এজাহারে কারখানাটির অ্যাকাউন্টস অফিসার মো. হাসান বসরি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিবাদী ইমরান কারখানার ট্রিমিং ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১ সেপ্টেম্বর আমাদের কারখানার বেতন দেওয়ার দিন ছিল। এদিন বিকেল ৫টা ৪৩ মিনিটে ট্রিমিং সেকশন ১২ গেজ, বি ব্লকে ৫৩ জন কর্মীর বেতন দেওয়ার জন্য অ্যাকাউন্টস সেকশন থেকে অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার ইসমাইল হোসেন বিবাদি ইমরানকে এক হাজার টাকার নোট ৭০০টি, ৫০০ টাকার নোট ৩৩৭টি, একশ টাকার নোট ১০০টি মোট ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা বুঝিয়ে দেন। বিবাদি কারখানার কর্মীদের বেতন বুঝিয়ে না দিয়ে কৌশলে কারখানা থেকে পালিয়ে যান।’
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক জামাল শিকদার বলেন, ‘শুক্রবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার নান্দাইল এলাকায় ইমরানের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’