প্রধানমন্ত্রীকে ১৯ পদ দিয়ে রাষ্ট্রপতির বাড়িতে আপ্যায়ন
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পৈতৃক বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য ১৫ প্রজাতির মাছসহ ১৯ পদ দিয়ে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এক টেবিলে বসে মধ্যাহ্নভোজ সম্পন্ন করেন।
এর আগে আজ সকালে মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুরে কামালপুর গ্রামে রাষ্ট্রপতির বাড়িতে যান। দুপুর পৌনে ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী সেখানে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি ও তাঁর স্ত্রী রাশিদা হামিদসহ পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এরপর সেখানে প্রধানমন্ত্রী জোহরের নামাজ, দুপুরের খাবার ও বিশ্রাম শেষে জনসভায় যোগ দেন।
মধ্যাহ্নভোজের পর প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব (এপিএস) এম ইমরুল কায়েস নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রীর দুপুরের খাবারের মেনু পোস্ট করেন। ফেসবুক পোস্টে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের আপ্যায়নে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাড়িতে কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত রাতাবোরো চালের ভাত ও হাওড়ের বিভিন্ন প্রকার মাছসহ মধ্যাহ্নভোজের মেনু।’
রাষ্ট্রপতির বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর দুপুরের খাবারের মেনুতে ছিল—সাদা ভাত, রুই মাছ দোপেঁয়াজা, কাতল মাছ দোপেঁয়াজা, চিতল মাছ দোপেঁয়াজা, আইড় মাছ দোপেঁয়াজা, পাবদা মাছ দোপেঁয়াজা, গোলসা টেংরা মাছ দোপেঁয়াজা, কালিবাউশ মাছ দোপেঁয়াজা, শোল মাছ ভুনা, বাইম মাছ ভুনা, চিংড়ি মাছ ভুনা, বোয়াল মাছ ভুনা, গ্রাস কার্প মাছ ভুনা, বাছা মাছ ভুনা, রিটা মাছ মাখা মাখা ঝোল, পাঙ্গাস মাছ মাখা মাখা ঝোল, মসুর ডাল, সালাদ ও রসমালাই।
এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে মিঠামইন উপজেলার ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে নির্মিত এ সেনানিবাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।
এর আগে ১৯৯৮ সালের ৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার মিঠামইন সফর করেছিলেন। তখন মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ছিলেন।