‘প্রভাবশালীরা জড়িত থাকলে তদন্ত করে খুঁজে বের করা হবে’
পরী মণির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর সঙ্গে প্রভাবশালীরা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে আজ শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ওমর ফারুক এ তথ্য জানান।
মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘৬ আগস্ট আমরা মামলার ডকেট বুঝে পেয়েছি, আসামির হেফাজতও বুঝে পেয়েছি। আসামিদের মধ্যে পরী মণি, মডেল মৌ, পিয়াসা ও নজরুল ইসলাম রাজ বর্তমানে সিআইডির হেফাজতে রয়েছে। তবে, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও মিশু হাসান বর্তমানে আমাদের হেফাজতে নেই। তারা অন্য মামলার তদন্তে ডিএমপির হেফাজতে রয়েছে।’
মো. ওমর ফারুক আরও বলেন, নায়িকা পরী মণির সঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিলের ‘অনৈতিক সম্পর্কের’ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
পরী মণি এখন আসামি। তবে, এর আগে অন্য একটা মামলায় তিনি বাদী ছিলেন। ঘটনাক্রমে একজন মামলার বাদীর সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তার অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগগুলো তদন্তে উঠে আসবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, ‘অবশ্যই উঠে আসবে। আমরা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করব। সে কারণে মামলা এবং আসামি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যম ও গণমাধ্যমে যা প্রকাশ পাবে, সে বিষয়গুলোও তদন্তের সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘সবেমাত্র আমরা তদন্ত শুরু করেছি। সুতরাং এই মুহূর্তে আমাদের পক্ষ থেকে বেশি কিছু বলা মুশকিল। সিআইডিতে যেকোনো তদন্তই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করা হয়।’
‘আমাদের ফরেনসিক ল্যাব, কেমিক্যাল ল্যাব, ডিএনএ ল্যাব ও আইটি ফরেনসিক ল্যাব রয়েছে। আমরা মামলার তদন্ত সুষ্ঠুভাবে করতে চাই। এর জন্য তদন্ত কার্যক্রমে আমাদের সময় লাগবে। এরই মধ্যে সিআইডির হেফাজতে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে’ যোগ করেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি।
পরী মণির অপর্কমের অভিযোগগুলোর সঙ্গে প্রভাবশালীরাও জড়িত থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে শেখ ওমর ফারুক বলেন, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়; সে যেই হোক না কেন। সে তদন্তকারী কর্মকর্তা হোক বা অন্য কেউ হোক। আমরা চাই নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে যেটি সত্য ঘটনা, সেটিকে উদ্ঘাটন করব। যদি প্রভাবশালী কেউ জড়িত থাকে, তাদের আমরা তদন্ত করে খুঁজে বের করব। আমি নিশ্চিত, যে যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন, তাকে আমরা আইনের আওতায় আনতে সমর্থ হব।’