প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমের দাফন বিকেলে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুমের দাফন আজ রোববার বিকেল ৪টার দিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সম্পন্ন হবে।
এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তাপস কান্তি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে জেয়াদ আল মালুমের মরদেহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়। এরপর বেলা দেড়টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা সম্পন্ন হয়। বেলা সোয়া ২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ রাখা হয়। পরে বিকেল ৪টার দিকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।’
গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম (৬৭) গতকাল শনিবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর জামাতা আমিনুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
গত ২৫ মে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবীকে রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সিএমএইচের লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের শুরু থেকেই জেয়াদ আল মালুম প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। যেখানে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর গোলাম আজম ও মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে বিশেষ ভূমিকা রাখেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালীন জেয়াদ আল মালুম ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সংশ্লিষ্ট শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
টাঙ্গাইল সদরের করোটিয়ায় জন্মগ্রহণকারী জেয়াদ আল মালুম ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৮৩ সালে তিনি ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। সেই থেকে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।