২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ২২৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন, যা ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা একটি স্বর্ণালী যুগ অতিক্রম করলাম, যা সারা বিশ্বে সমাদৃত। অর্থনীতি ও উন্নয়ন, সমাজনীতি, সংস্কৃতি, আইনশৃঙ্খলা, পররাষ্ট্রনীতিসহ সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। গত ১২ বছরে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭ শতাংশের বেশি ছিল এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ শতাংশ অতিক্রম করে। মূল্যস্ফীতি ছিল সহনীয় পর্যায়ে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ, বর্তমানে দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। জিডিপির আকার চার লাখ ৮২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা হয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৭৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ এক মিলিয়ন ডলারের কম, যা বর্তমানে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বিএনপি সরকার আমলের শেষ অর্থবছর আর বর্তমান চলতি অর্থবছরের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা, যা বর্তমান অর্থবছরে দশগুণের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের গড় আয়ু ২০০৫-০৬ অর্থবছরের ৫৯ বছর থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯-২০ সালে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছর।

শিশুমৃত্যু হার কমে প্রতি হাজারে ৮৪ থেকে ২৮ এবং মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ৩৭০ থেকে ১৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল দুই হাজার ৫০৫ কোটি টাকা।