বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি : ঢাবির বাসা ছাড়তে হবে বরখাস্ত অধ্যাপক মোর্শেদকে
সংবাদপত্রে ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ নিবন্ধন লিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে ঢাবির আবাসিক এলাকার বাসা ছাড়ার নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। ফলে ঢাবির আবাসিক এলাকার বাসা তাকে ছাড়তে হবে।
আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন।
এ আদেশের ফলে অধ্যাপক মোর্শেদ খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার বাসা ছাড়তেই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারীর আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
আদালতে আজ মোর্শেদ হাসানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
এর আগে গত ২৯ জুন অধ্যাপনা থেকে অব্যাহতি দেওয়া অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার বাসা ছাড়তে নোটিশ দেয় ঢাবি কর্তৃপক্ষ। নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সেটি খারিজ করেন। এখন এই খারিজের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হবে বলে জানান জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
জানা যায়, উত্তর ফুলার রোডের ৩৭ নম্বর আবাসিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২৮০০ বর্গফুটের বাসায় থাকছেন মোর্শেদ হাসান খান। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী বাসা ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল তার। পরে ২০২১ সালে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপর ২০২১ সালের ৮ জুন তাকে চাকরি থেকে অপসারণের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।