বঙ্গবন্ধুর খুনির জামাতার কারাদণ্ড
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদের মেয়ের জামাতা ফুয়াদ জামানকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ রায় দেন। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে এই রায় দেওয়া হলো।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জানান, গত বছরের ৬ জানুয়ারি আদালত এই মামলার অভিযোগ গঠন করেছিলেন। শুনানির সময় মোট সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ফুয়াদ জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৯ সালের ৪ জুলাই পুলিশ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট অভিযোগপত্র জমা দেয়।
নথি থেকে জানা গেছে, ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ফুয়াদের বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য মোহাম্মদ নাজমুল হাসান পিয়াস। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয় গত ২৩ আগস্ট।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে কটূক্তি করে ও আদালতের রায়ে প্রমাণিত হত্যাকারীদের প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন ফুয়াদ। তাতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের অপরাধের পক্ষে প্রশংসা এবং খুনিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।
ফুয়াদ তাঁর পোস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকে ভালো কাজ বলেও আখ্যায়িত করেন। বিষয়টি জাতির পিতার প্রতি চরম অসম্মান ও মানহানিকর এবং উসকানিমূলক।
ফুয়াদ জামানের স্ত্রী শেহনাজ রশিদ খান লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খানের মেয়ে। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে পুরোনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।