বন্যা পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করলেন রিজভী
দেশের বন্যা পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দেশের এই পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী? এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী। অন্য কেউ দায়ী নয়। জনগণকে ক্ষুধায় রেখে, অনাহারে রেখে, পানিতে ডুবিয়ে আপনি ঝাড়বাতির আলোয় পদ্মা সেতু দেখবেন আর ভারত থেকে নাচনিওয়ালি নিয়ে এসে সেখানে নাচাবেন, এটা দেশের মানুষ আর মেনে নিবে না।
আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবিতে এবং বন্যাদুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদানের দাবিতে প্রতীকী অনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেছেন, ‘দেশের মানুষ ডুবে যাবে আর আপনি প্রধানমন্ত্রীত্ব করবেন, এটা এদেশের মানুষ আর মেনে নেবে না।’
রিজভী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘জনগণের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে তাকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে আপনি ঠেলে দেবেন, এটা আর এদেশের মানুষ সহ্য করবে না। সময় এসেছে আপনার সরকারের গলায় গামছা দিয়ে রাজপথে নামাবে বাংলার মানুষ। সেই প্রত্যয় সেই অঙ্গীকার নিয়ে এখন মানুষ রাজপথে নেমে পড়বে।’
সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিবেন তাহলে আজকে কেন রাত আটটা থেকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন। কারণ কোথাও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নেই। ঢাকায় এখন এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আপনি যে সকল আইন করেছেন শুধু আপনার লোকজনদের ধনী করার জন্য, আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার জন্য। আপনাদের লোকজন যাতে বাংলার মানুষের ভাগ্য হরণ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে এবং এই টাকা বিদেশে পাচার করতে পারে, আপনি সেই সুযোগ করে দিচ্ছেন।
রিজভী বলেন, ‘সিলেটের বন্যা আমরা যা দেখছি সকালে হাঁটুপানি দুপুরে মধ্যে কোমর পানি। গোটা সুনামগঞ্জ শহর রীতিমতো পানিতে ভাসছে। আর আপনি ভাসছেন আনন্দে আত্মহারা হয়ে পদ্মা সেতু দেখিয়ে। পদ্মা সেতুর যে ভেলকিবাজি এটা জনগণ জানে যে তামাশা করছেন। জনগণের সাথে একটা মশকরা করছেন, ভেলকিবাজি দেখাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জে ৫০ লাখ লোক পানিবন্দি। তাদের জন্য এক থেকে দেড় টাকা, আর পদ্মা সেতুর বিচিত্রা অনুষ্ঠানে ভারত থেকে আসা একজন নৃত্যশিল্পী তাঁকে নাকি দেবেন তিন কোটি টাকা। আর সিলেটে বন্যার্ত মানুষ, সুনামগঞ্জে বন্যার্ত মানুষ, নেত্রকোনার বন্যার্ত মানুষ, কুড়িগ্রামের বন্যার্ত মানুষের জন্য এক থেকে দেড় টাকা।
সংগঠনের সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এবং কৃষকদল নেতা আব্দুল্লাহ আল নাইমের সঞ্চালনায় প্রতীকী অনশনে বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম, ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম, সংগঠনের সমন্বয়কারী ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ বক্তব্য দেন।