বরিশালে লকডাউনে পরিবহণ ভাড়া বেড়েছে কয়েকগুণ
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে বরিশালে সড়ক দখলে রেখেছে থ্রি-হুইলার। আর ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দ্বিগুণ। মূলত বিধি নিষেধ উপলক্ষে রাজধানী ছেড়ে বাড়ি ফেরা মানুষদের নিয়ে যেতে তারা সড়কে আছে।
এদিকে, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা প্রশাসন থেকে অভিযান চালাতে সড়কে নামা হবে বলে সকালেই জানানো হয়েছে।
সরকারি নির্দেশা অনুযায়ী আজ সোমবার সকাল থেকেই সাত দিনের জন্য সড়কে সব যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে নগরীতে স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করছে হলুদ অটো, আলফা মাহিন্দ্রা, সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।
সরেজমিনে সকাল পৌনে ৮টার দিকে নগরীর রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায় পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনাগামী কয়েক শতাধিক মাহিন্দ্রা, মাইক্রো, মোটরসাইকেল ও সিএনজি অপেক্ষা করছে। লঞ্চ ও বাসে আসা যাত্রীদের নিয়ে ছুটছে দূরপাল্লার গন্তব্যে। এছাড়া বেশ কিছু দূরপাল্লার বাস দেখা গেছে চলাচল করতে। একই চিত্র আরেক বাসস্ট্যান্ড নথুল্লাবাদে। এদিকে গতকাল রাত ৩টায় শুরু করে লঞ্চঘাট থেকে কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করেছে। যাত্রীস্রোতের কারণে শুধু নগরীতে চলাচল করা থ্রি-হুইলারগুলো নয়, শহরের আশপাশ এলাকা থেকেও এসেছে গাড়ি।
নগরী ঘুরে দেখা গেছে, আগে হলুদ অটো ও মাহিন্দ্রায় ১০ টাকা ও সিএনজি, নীল অটোতে ১৫ টাকা ভাড়া নির্ধারিত ছিল। কিন্তু বিধি নিষেধ আরোপের পর কোনো নিয়মই মানা হচ্ছে না। ১০ টাকার ভাড়া বাড়িয়ে ৩০ থেকে ৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। দূর পাল্লায় ভাড়ার কোনো নির্ধারণ নেই, খেয়ালখুশি মতো আদায় করছে।
বরিশাল ইজিবাইক শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লতিফ সিকদার লেদু বলেন, ‘ইজিবাইক বন্ধের জন্য আমরা স্থানীয় প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাইনি। যে কারণে ক্ষুদ্র পরিবহনগুলো চলাচল করছে। তবে গাড়ি চালকদের প্রতি বলা আছে, অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। আর ট্রাফিক বিভাগ থেকে যখনই চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হবে তখনই সড়ক ছেড়ে যাবে ইজিবাইক।’
তবে অভ্যন্তরীণ রুটের কোনো বাস ছেড়ে যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন রূপাতলী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন। তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা অনুসারে আমরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি। চেষ্টা করছি এই সময়ে শ্রমিকদের সহায়তা করার জন্য।’
বরিশাল মেট্রোপলিটন (ট্রাফিক) পুলিশের উপকমিশনার জাকির হোসেন মজুমদার বলেছেন, ‘সরকারি নির্দেশনায় আন্তজেলা পরিবহন বন্ধ রাখার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে নগরীর মধ্যে ক্ষুদ্র পরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোথাও উল্লেখ নেই।’