বাবা-মা-বোনকে হত্যায় স্বীকারোক্তি মেহেজাবিনের
রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকায় বাবা-মা ও বোনকে হত্যামামলায় মেহেজাবিন মুন আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা এই আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) শওকত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ রিমান্ডে থাকা মেহেজাবিন মুনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। সেই জবানবন্দি শেষে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ১৯ জুন গতকাল রাত ১২টার দিকে হত্যামামলাটি করেন হত্যার শিকার মাসুদ রানার বড়ভাই ও মেহেজাবিন মুনের চাচা সাখাওয়াত হোসেন। মামলায় মেহেজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম অরণ্যকেও আসামি করা হয়েছে। অরণ্য রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন। পরবর্তীতে তাঁকে গত বৃহস্পতিবার রিমান্ডে নেওয়া হয়।
গত ১৯ জুন সকালে কদমতলীর মুরাদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে মাসুদ রানা (৫০), তাঁর স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (৪৫) এবং তাঁদের মেয়ে জান্নাতুলের (২০) হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় আটক করা হয়েছে মাসুদ রানার আরেক মেয়ে মেহেজাবিন মুনকে।
ঘটনাস্থল থেকে মেহেজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও তাদের পাঁচ বছরের মেয়ে মার্জান তাবাসসুমকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৮ জুন রাতের কোনো একসময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।