বাস ভাড়া ও ধর্মঘট নিয়ে বৈঠক চলছে
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহণ ভাড়া পুনর্নিধারণের জন্য বৈঠকে বসেছে সরকার ও পরিবহণ মালিক সমিতি।
ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান ও ভাড়া সমন্বয় কমিটির সভাপতি নূর মোহাম্মদ মজুমদার।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত আছেন। পরিবহণ মালিক শ্রমিক নেতা খন্দকার এনায়েতউল্লাহ, শ্যামলী পরিবহণের মালিক রমেশ ঘোষ, সোহাগ পরিবহণের মালিক ফারুক তালুকদার, কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি উপস্থিত রয়েছেন বৈঠকে।
জানা গেছে, মালিকপক্ষ ভাড়া পুনর্নির্ধারণের জন্য যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে দূরপাল্লার বাসের জন্য কিলোমিটার প্রতি ২.০৯ টাকা এবং মহানগরীর জন্য ২.৪৯ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। অপরদিকে বিআরটিএ মালিকপক্ষের কাছে যে প্রস্তাব তুলে ধরেছে তাতে দূরপাল্লার ক্ষেত্রে ১.৮২ টাকা এবং মহানগরীর ক্ষেত্রে ২.১০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। এই দুই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। এ ভাড়া বর্তমানে দূরপাল্লার বাসের ক্ষেত্রে ১.৩৯ টাকা এবং মহানগরের ক্ষেত্রে ১.৭০ টাকা রয়েছে।
বৈঠক শেষে বাস ভাড়া পুনর্নিধারণ ও ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বুধবার সরকার খুচরা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এরপর গত শুক্রবার ভোর থেকে সারা দেশে পণ্য ও যাত্রীবাহী সড়ক পরিবহণে ধর্মঘট শুরু করে মালিক ও শ্রমিকরা।
সেই ধর্মঘট আজ রোববার তৃতীয় দিনের মতো চলছে।
এর মধ্যে গতকাল বিকেল থেকে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা। আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসবে লঞ্চ মালিকরা।
ফলে এখন চলাচলের জন্য মানুষ এখন ভিড় করছেন রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে। ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।