বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা চলবে
৩২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আদেশের ফলে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে দুর্নীতির মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসলাম চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
গত ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, তার স্ত্রী ও দুই ভাইসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। অন্য তিন আসামি হলেন আসলাম চৌধুরীর স্ত্রী জামিলা নাজনীন মাওলা, দুই ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও আমজাদ হোসেন চৌধুরী।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা আগ্রাবাদ শাখার এবি ব্যাংক থেকে ৩২৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ঋণ নেন। পরে ঋণ পরিশোধ না করে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে দুদক ঢাকার উপপরিচালক মো. মোশারফ হোসাইন মৃধা ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট আদলতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগ রয়েছে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
ভারতের দিল্লি ও আগ্রার তাজমহল এলাকায় ২০১৬ সালে মোসাদের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ করে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা। ইসরায়েলি লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠকের ছবি সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সাফাদি ইসরায়েলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির প্রধান। এসব অভিযোগে আসলামকে ২০১৬ সালের ১৫ মে সন্ধ্যায় ঢাকার কুড়িল থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।