বিদ্যুতের ঘাটতি না থাকলে লোডশেডিং কেন, প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
বিদ্যুৎ-জ্বালানির ঘাটতি না থাকলে লোডশেডিং কেন, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।
বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহানগর উত্তরের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে লোডশেডিংয়ে প্রতিবাদ জানাতে দলের নারী নেতাকর্মীরা হারিকেন হাতে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মূল মঞ্চেও ঝুলিয়ে রাখা হয় একটি হারিকেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গতকালই তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন, দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির কোনো ঘাটতি নেই। আমার প্রশ্ন—ঘাটতি নেই তো লোডশেডিং কেন? ঘাটতি নেই তো আট ঘণ্টা বিদ্যুত নেই কেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে দুর্নীতি করে, চুরি করে তারা (সরকার) বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সর্বনাশ করে দিয়েছে। আজকে শহরে দুই-তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ যায়, আর গ্রামে যেখানে বোরো মৌসুমে সেচের জন্য বিদ্যুৎ দরকার, সেখানে সাত থেকে আট ঘণ্টা বিদ্যুত থাকে না। অথচ, এই সরকার এই বিদ্যুতের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে এবং লুট করে বিদেশে পাঠিয়েছে।’
‘এই সরকার মুখে বড় বড় কথা বলে, অনর্গল মিথ্যা কথা বলে, মানুষকে প্রতারণা করে, মানুষকে বোকা বানিয়ে রাখে’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কয়েকদিন আগে অর্থমন্ত্রী (আহম মুস্তফা কামাল) বললেন যে, আমরা আইএমএফ থেকে টাকা ধার নেব না। আমরা এখন শক্তি বাড়াচ্ছি অর্থনীতির মধ্যে। অথচ, কালকে আমরা পত্রিকায় দেখলাম যে, তারা আইএমএফের কাছে সাড়ে চারশ বিলিয়ন ডলার ধার চেয়েছে।’
দেশে এখন ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারের তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এই সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সুতরাং, এদেরকে আর কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না, আর কোনো সময় দেওয়া যাবে না।’
ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম আজাদ, তাবিথ আউয়াল, সাইফুল আলম নিরব প্রমুখ।